আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই PDF Download | সাদাত হোসাইন বই pdf - purepdfbook
ad spaceAmar Ar Kothao Jaoyar Nei By Sadat Hossain Pdf free Download. আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই pdf download drive link: পিডিএফ সাইজঃ 3 mb প্রায় - মোট পৃষ্ঠাঃ ৮০ টি - সাদাত হোসাইনের বইয়ের pdf
আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই বই রিভিউঃ
বর্তমান সময়ের তরুণ লেখকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন। আমি বড় কলেবরের উপন্যাস পড়তে গেলে অধৈর্য হই। কিন্তু লেখকের জনপ্রিয়তা দেখে ও উনার উপন্যাসগুলোর রিভিউ দেখে পড়ার লোভ সামলাতে পারিনি। উনার ছোট কলেবরের বই "আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই" দিয়েই উনার উপন্যাস পড়া শুরু করলাম। বইয়ের গল্পটি অত্যন্ত চমৎকার। আমি দারুণ উপভোগ করেছি বইটি। বইটি নিয়ে নীচে বিস্তারিত আলোচনা করলাম।
উপন্যাসে বেশ কিছু চরিত্র থাকলেও মুখ্য করে দেখানো হয়েছে দুটি পরিবারকে। একটি পরিবার তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন রাজনীতিবিদ ও নেতিবাচক মন -মানসিকতার অধিকারি আজহার উদ্দিনের। আজহার উদ্দিন ধনী মানুষ।তার পরিবারে রয়েছে তার বিবাহযোগ্য কন্যা লাবনী, বড় স্ত্রী নাসিমা এবং ছোট স্ত্রী জোহরা। আজহার উদ্দিন একজন সুবিধাবাদী মানুষ।
তার বাড়ির লজিং মাস্টার বাদলকে ভালোবাসে তার কন্যা লাবনী। বাদলও ভালোবাসে। কিন্তু আজহার উদ্দিন ক্ষমতাবান মানুষ। এলাকার সাংসদ আশফাকের সাথে উঠাবসা। খুন করে বেড়ায় এমন মানুষের সাথেও রয়েছে তার শখ্যতা। বাদলকে নিজের মেয়ের জীবন থেকে সরিয়ে দিতে দূরের একটা হাইস্কুলে চাকুরি দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয় সে।
তার প্রথম স্ত্রী নাসিমা পাঁচ ভাইয়ের আদরের একমাত্র বোন ছিলো। অথচ তাকে ভালোবেসে তার সাথে সাতাশ বছর আগে পালিয়ে এসেছিলো নাসিমা। সাতাশ বছর ধরে নাসিমার তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অথচ এই বয়সকালে এসে আজহার উদ্দিন এক ঋনদায়গ্রস্ত পিতার কন্যাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছে। এই শোকে নাসিমা বিষপান করে আত্নহত্যা করে।
উপন্যসের আরেকটি পরিবার হঠাৎ করে হারিয়ে যাওয়া নিম্নবিত্ত ফরিদের। ফরিদের উপস্থিতি অবশ্য বইটিতে খুবই অল্পবিস্তর। ফরিদের স্ত্রী রাবেয়া, ফরিদের মা লতিফা বানু এবং ফরিদের ছেলে রতন হচ্ছে উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিবারটির সদস্য। অল্প বয়স্ক রতন সবসসময় তার বাবার ফিরে আসার অপেক্ষায় থাকে। তার বাবা যে লঞ্চে করে ঢাকা থেকে আসতো, সেই লঞ্চের অপেক্ষায় লঞ্চঘাটে দাঁড়িয়ে থাকে।
লঞ্চের গায়ে লিখে দেয়, আব্বা, তুমি আসো না ক্যান? ফরিদের বউ রাবেয়া স্বামীর জন্য তীব্র অপেক্ষা আর অভিমান নিয়ে দিনাতিপাত করে। লতিফা বেগম স্বপ্নে দেখে তার ছেলে ফিরে এসেছে। কিন্তু চারজন মানুষের পরিবারের বাকি সদস্যটির জন্য অপেক্ষা যেন শেষ হয় না বাকি তিনজনের। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত পরিবারটির একমাত্র খাবার কদু(লাউ) সিদ্ধ। ভাত খাওয়ার চাল নেই তাদের ঘরে। ফরিদের অনুপস্থিতিতে তার জোয়ান বউয়ের উপর এলাকার মানুষের কুনজর পড়ে।
ভাঙা বেড়ার ঘর থেকে গভীর রাতে মানুষের আওয়াজ শুনে রাবেয়া। ভয়ে সে ঘুমোতে পারে না। কুপি জ্বালিয়ে জেগে থাকে। এক রাতে রাবেয়ার ভয়কে আরও গাঢ় করে একটি লোমশ হাত ঢুকে যায় ঘরের ভাঙা বেড়া ভেদ করে। ছোট রতনের ধারণা তাদের বাড়িতে রাতে ভূত আসে। সমাজের মানুষরুপি জানোয়ারদের সম্পর্কে ধারণা নেই অপরিপক্ক ছেলেটির। তাই সে মানুষরুপি জানোয়ারকে ভূত ভেবে ভয় পায়।
বইয়ের প্রথমদিক পড়ে পুরোটা পড়ার আগ্রহ না পেলেও, মাঝখান থেকে বইটা আমাকে জোঁকের মত আঁকড়ে ধরেছিলো। রাবেয়ার ভয়ের কারণে রাত জেগে থাকাটা আমাকে টেনেছে খুব। আমাদের সমাজের বাস্তব এই অংশটি তুলে ধরে লেখক তার বাস্তবিক লিখায় মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।
ফরিদের ব্যাপারটা অপেক্ষা উপন্যাসের মত হলেও লেখক ফিনিশিংটা অপেক্ষার মত রাখেন নি। তৃপ্তিদায়ক ফিনিশিং দিয়েছেন। মাত্র ৭৯ পৃষ্ঠার ছোট একটা বইতেও লেখক টুইস্ট দিয়ে পাঠকমনকে তৃপ্ত করেছেন।
আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই বইয়ের প্রিয় উক্তিগুলোঃ
১. বিপদ একা আসে না, বিপদ আসে দলবল নিয়ে।
২. জীবনটা হলো পরীক্ষার রুটিনের মতোন। বাংলার পর অঙ্ক, অঙ্কের পর ইংরেজি। কখন কি হবে, তা সেই রুটিনেই ঠিক করা থাকে।
৩. পুরুষ মানুষের মন খারাপ করতে নেই। পুরুষ মানুষ হবে পাথরের মত শক্ত।
৪. এই দুনিয়াটা একটা কানামাছি খেলা। কেউ ধরতে চায়, কেউ পালাতে চায়।
বইয়ের বিবরণ
বইয়ের নামঃ আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই
লেখকঃ সাদাত হোসাইন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৮০ টি।
ক্যাটেগরিঃ উপন্যাস বই
প্রকাশনীঃ ভাষাচিত্র
পিডিএফ সাইজঃ ২ মেগাবাইট প্রায়।
রকমারি থেকে ক্রয় করার লিঙ্কঃ আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই বই
আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই Pdf download
(amarboi.কম হতে pdf সংগ্রহ করা হয়েছে)
top 5 post ad space
Post a Comment
0 Comments