চিঠি  বা পত্র লেখার নিয়ম

চিঠি  বা পত্র লেখার নিয়ম এ টু জেড বালায় + pictures এ দেখানো হলো, যাতে বুঝতে বিন্দুমাত্রও সমস্যা না হয়। তাই আপনি যদি চিঠি লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে / শিখতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

প্রথমেই জানতে হবে আমাদেরকে চিঠি বা পত্র লিখন আসলে কি?

 উত্তর হলোঃ কোনো ব্যক্তির কাছে নিজের বা নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করে কোনো বিষয় নিয়ে লেখাকেই চিঠি/ পত্র লিখন বলে।

চিঠি লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবেঃ

১। চিঠিতে সহজ সরল ভাষায় নিজের ভাব প্রকাশ করতে হবে।
২। আপনাকে কঠিন ভাষারীতি ত্যাগ করতে হবে।
৩।  চিঠি বা পত্রের ধরন/ক্যাটেগরি অনুযায়ী প্রচলিত নিয়ম রীতি মেনে লিখতে হবে।
৪।  হাতের লেখা পরিষ্কার ও স্পষ্ট করে লিখতে হবে।
৫। প্রয়োজনীয় স্হানে নাম - ঠিকানা লিখতে হবে।

যে সব বিষয় চিঠিতে বা পত্রে অন্তর্ভুক্ত থাকবেঃ

১। পত্র লেখার সঠিক স্থান।
২। পত্র প্রেরণের তারিখ।
৩। এরপরে সম্বোধন।
৪। পত্রের বক্তব্য বিষয়।
৫। পত্র লেখকের নাম ও স্বাক্ষর।
৬। খামের ওপর প্রাপকের নাম ও ঠিকানা।

পত্র / চিঠি লেখার সময় যে বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতেই হবেঃ

ক. পত্র / চিঠির বক্তব্য হবে সুস্পষ্ট।
খ. চিঠি বা পত্র হবে সংক্ষিপ্ত (কিন্তু এই অল্প স্পেসের ভিতরেই নিজের ভাব প্রকাশ করতে হবে)
গ. পত্র বা চিঠি লেখার যে নিয়ম পদ্ধতিগুলো রয়েছে তা মেনে লিখতে হবে।
ঘ. পত্রের ভাষ্য প্রয়োগে শুদ্ধতা থাকতে হবে।
ঙ. পত্র লিখতে হবে সহজ সরল ভাষায় যাতে অপর প্রান্তের লোকটির নিকট বোধগম্য হয়।
চ. চিঠি লেখার শুরুতেই প্রকাশভঙ্গিটা আকর্ষণীয় করে লিখবেন।

How to write letter in Bangla

সাধারণত ১টি চিঠিতে/পত্রে ছয়টি অংশ থাকেঃ

  • প্রথমে যেটা থাকে তা হলোঃ মঙ্গলসূচক বাণী।
  •  এরপরে, পত্র লেখকের ঠিকানা ও তারিখ।
  • ৩য় নাম্বারে থাকে, সম্বোধন।
  • এরপরে বক্তব্য অংশ।
  • এরপরেই থাকে, ইতি বা সমাপ্ত ও
  • শিরোনাম, অংশ দিয়েই সমাপ্ত।


চিঠি বা পত্র প্রকারভেদঃ

চিঠি বা পত্র সাধারণত ২ প্রকারঃ
১। পারিবারিক ও
২। ব্যবহারিক

এই ২ প্রকারকে আবার ভাগ করলে নিম্নের গুলো পাওয়া যায়ঃ

  • ব্যক্তিগত পত্র।
  • আবেদন পত্র।
  • অভিনন্দন পত্র।
  • নিমন্ত্রণ পত্র।
  • ব্যবসা সংক্রান্ত পত্র।
  • দলিল পত্র ও
  • সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য পত্র


ব্যক্তিগতপত্র কাকে বলে?

উত্তরঃ যে চিঠি বা পত্রগুলো একান্ত ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক বিষয়াদি নিয়ে যে চিঠি বা পত্র লেখা হয়, তাকে ব্যক্তিগত পত্র বা চিঠি বলে।

ব্যক্তিগতপত্র লেখার নিয়মঃ

১। চিঠির ডানদিকের শীর্ষ অংশি পত্র প্রেরণের স্থান ও তারিখ লিখতে হবে।

২।  চিঠির গুরুত্ব এবং বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মূল বক্তব্য লিখতে হবে। মনে রাখবেন এটাই কিন্তু চিঠির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩।  পত্রের বাম দিকে একটু নিচুতে প্রাপকের বয়স ও মর্যাদা অনুযায়ী সম্বোধনসূচক শব্দ ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ  স্নেহাস্পদেষু , মান্যবরেষু , পাক জনাবেষু , প্রীতিভাজনেষু ,  কল্যাণীয়াসু , কিংবা প্রাপকের নাম যেমনঃ প্রিয় কামাল এভাবে ও লিখতে পারেন।

৪। চিঠির শেষে পত্র প্রেরকের নাম কিংবা স্বাক্ষর থাকবে। অপরিচিত কিংবা স্বল্প পরিচিত হলে পুরো নাম লেখাই ভালো। খামের ওপর ডানদিকে স্পষ্ট অক্ষরে লিখতে হবে প্রাপকের পূর্ণ নাম ও ঠিকানা। প্রেরকের নাম ও ঠিকানা থাকবে খামের বাম দিকে।

সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্যে পত্র লেখার নিয়মঃ

এ ধরনের পত্রে সাধারনত দুটি অংশ থাকে।
ক. প্রথম অংশে সম্পাদকের কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে লেখা হয়।

খ. দ্বিতীয় অংশে শিরোনামসহ মূল ঘটনার বিবরণ লেখা হয়।
গ. চিঠি বা পত্রের ভাষা সহজ সরল এবং  সংক্ষিপ্ত করে লেখাই উত্তম।

আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে pictures যুক্ত করে দিলাম, এতে আরো স্পষ্ট ভাবে শিখতে পারবেন যে কিভাবে, বাংলায় চিঠি লিখতে হয় বা লেখার নিয়ম।




 

top 5 post ad space